.

.

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে.....subeen bhai

সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে


তোমরা যারা কম্পিউটার সায়েন্স বা কাছাকাছি কোনো বিষয়ে পড়ছ এবং শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করে যাবে, তাদের বেশিরভাগই কাজ খুঁজে নেবে সফটওয়্যার
ইন্ডাস্ট্রিতে। কম্পিউটার বিজ্ঞানের মৌলিক ধারণার ওপর শক্ত ভিত্তি ও প্রোগ্রামিংয়ে যথেষ্ট দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও তোমাদের অনেকের মধ্যেই অনেক দুশ্চিন্তা কাজ করে, আর কী কী শিখতে হবে, কিভাবে শিখব, কতটুকু শিখব এরকম অনেক প্রশ্ন উঁকি দেয় মনে। আজকে আমি পাঁচটি জিনিসের কথা বলব, যেগুলো আমি প্রত্যাশা করি একজন নতুন কম্পিউটার সায়েন্স গ্রাজুয়েট আগে থেকেই জেনে আসবে। যদিও আমি নিজে যখন পাশ করি, তখন এসব জানতাম না, তবে সেটা অনেক অনেক বছর আগের কথা। বর্তমান সময়ে এগুলো না জানলেই নয়।
১) ভার্শন কন্ট্রোল সিস্টেমের ব্যবহার: তোমরা নিশ্চয়ই গিট বা গিটহাবের নাম শুনেছ, না শুনে থাকলে git ও github লিখে গুগলে খোঁজা শুরু কর। খুব সহজ কথায় বললে, গিট হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে ভার্শন নিয়ন্ত্রনের কাজটি বেশ সহজে করা যায় এবং সেকারণে অনেকে মিলে একসাথে একটি প্রজেক্ট কাজ করতে সমস্যা হয় না। আর গিটহাব হচ্ছে ওয়েবভিত্তিক একটি সার্ভিস যেখান থেকে বিনামূল্যে গিট ব্যবহার করা যায়। তো গিটহাবে গিয়ে একটু সময় কাটালেই তোমরা এর ব্যবহার শিখে নিতে পার। এছাড়া এই ওয়েবসাইটে গিয়ে তোমরা গিটের ব্যবহার সহজে শিখতে পারবে : https://try.github.io/। আর বাংলা ভাষায়ও বেশ ভালো ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করা আছে এখানে :http://git.certainly.rocks/
২) ডকুমেন্টেশন: ডকুমেন্টেশন দুই পর্যায়ে করতে হয়, একটি হচ্ছে কোডের ভেতরে, আরেকটি হচ্ছে কোডের বাইরে। প্রতিটি ফাংশন ও ক্লাসের সাথে খুব অল্প কথায় সেটি কী কাজ করছে, এটি লিখে দেওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। আর কোডের বাইরে সিস্টেমের ডকুমেন্টেশন, এপিআই ডকুমেন্টেশন এগুলোও লিখতে জানতে হবে। ডকুমেন্টেশন শেখার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রজেক্টের ডকুমেন্টেশন দেখা। গিটহাবে এরকম প্রচুর প্রজেক্ট হোস্ট করা আছে।
৩) ইউনিট টেস্ট: ইউনিট টেস্ট হচ্ছে প্রোগ্রামের ভেতরে প্রতিটি ফাংশনের জন্য পৃথক টেস্ট কোড। এর মাধ্যমে প্রতিটি ফাংশন টেস্ট করা হয়। সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট সহজ করতে এবং বাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি একটি পরীক্ষিত ও কার্যকর উপায়। আর এই ইউনিট টেস্ট করাটা কিন্তু প্রোগ্রামারদেরই কাজ। বর্তমানে প্রোগ্রামিং ভাষার বইগুলোতে সেই ভাষায় কিভাবে ইউনিট টেস্ট করতে হয় সেটির ওপর আলাদা অধ্যায় থাকে, পড়ে নিতে পার।
৪) ওয়েবের ধারণা: তুমি সফটওয়্যারের যে বিভাগে বা যে ধরণের সফটওয়্যার নিয়েই কাজ কর না কেন, বর্তমানে তোমার ওয়েবের শক্ত ধারণা থাকার কোনো বিকল্প নেই। ওয়েব কীভাবে কাজ করে সেটা তোমার জানতে হবে। বিভিন্ন অংশের কাজের ওপর স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। ওয়েবের ধারণা অর্জনের জন্য দ্বিমিক কম্পিউটিংয়ের ওয়েব কনসেপ্টস কোর্সটিই সেরা, এবং এটি বিনামূল্যে করা যাবে এই ঠিকানা থেকে: https://dimikcs.appspot.com/WEB100/। আর হ্যাঁ, কোর্সটি সম্পূর্ণ বাংলায়।
৫) এপিআই ব্যবহার: বিভিন্ন এপিআই ব্যবহার করতে জানতে হবে, সেটা তুমি মোবাইল ডেভেলাপার হতে চাও কিংবা ওয়েব ডেভেলাপার। ফেসবুক, টুইটার, গুগল ইত্যাদি কোম্পানীগুলো অনেক এপিআই তৈরি করে রেখেছে যেগুলো তুমি তোমার অ্যাপ্লিকেশন (ডেস্কটপ, ওয়েব কিংবা মোবাইল)-এ ব্যবহার করে অনেক চমৎকার সব জিনিস তৈরি করতে পার। বিভিন্ন এপিআই-এর ডকুমেন্টেশন খুব ভালোভাবে লেখা থাকে। তাই সেগুলো পড়ে নিজের কোডে সেটা ব্যবহার করতে পারতে হবে, এর জন্য তোমাকে অফিসে যদি তিন দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া লাগে তাহলে কিন্তু মুশকিল।
নতুন দিনের প্রোগ্রামারদের জন্য শুভকামনা।

M05T4F4

About M05T4F4

Author Description here.. Nulla sagittis convallis. Curabitur consequat. Quisque metus enim, venenatis fermentum, mollis in, porta et, nibh. Duis vulputate elit in elit. Mauris dictum libero id justo.

Subscribe to this Blog via Email :